যারা জাতির পিতার ভাস্কর্যকে তাঁর শরীর ভেবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আঘাত করে বিভৎস্য উল্লাসে মেতে ওঠে, ওরা খুনি ফারুক-রশীদের সহোদর,
ধর্মনিরপক্ষতার আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগারদের ধর্মপ্রাণ সকল সদস্যকে যারা অমুসলিম বলে, কাফের বলে, জানাজা পরতে নিষেধ করে ওরা ঘাতক গোলাম আজম, কসাই কাদের মোল্লার সহোদর -
আবার রাতের অন্ধকারে তাদের ভাষায় ‘কাফেরে’র দরজায় অনূকম্পা চায়, তারা দেশদ্রোহী, ধর্মদ্রোহী ।
এই বিষধর সাপদের প্রতি কোন অনূকম্পা করা আত্মহত্যার সামিল। ওরা সুযোগ পেলেই ছোবল মারবে। দেশটাকে জাহান্নাম বানাবে।
১৯৭১ আমাদের ভিত্তি, জাতীয় পতাকা আমাদের পরিচয়, জাতীয় সঙ্গীত আমাদের ভালবাসা - দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য ও সংহতির প্রধান উপাদান।
যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন করবে না, প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বাংলাদেশ প্রেমের দীক্ষা নেবে না, সেই ধরণের কোন শিক্ষা ব্যবস্থা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত বিধৌত বাংলার মাটিতে চলতে পারে না।
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।সুতরাং, তাদের বাংলাদেশ, দেশের সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত মনেপ্রাণে ধারণ ও লালন করতে হবে।অন্যথায় দেশদ্রোহী উৎপাদনের সেইসব প্রতিষ্ঠানের সকল স্বীকৃতি বাতিল, এর পরিচালনায় সম্পৃক্তদের ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত ও ২ লক্ষ মা-বোনের হারানো সম্ভ্রমের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে সবাই বাধ্য।
বি: দ্র: - ইংলিশ ও অন্যান্য মিডিয়ামও এই আওতায় পড়ে। সবাইকে বাংলাদেশ মানতে হবে |
লেখকঃ জাতীয় সংসদের হুইপ ও জয়পুহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য।