সর্বক্ষেত্রে
প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি কমবে বলে মনে করেন তথ্য ও
প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন।
বর্তমান
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন এবং এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে
কি ভাবে প্রতিটি খাতে দুর্নীতি শুন্যের কোটায় আনা সম্ভব সেই বিষয়ে বিডি পলটিকার সাথে
একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার যদি সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার
নিশ্চিত করতে পারে তবে দুর্নীতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে আসবে।
তিনি
বলেন, বর্তমান সরকার বিগত ১০ বছরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায়।
যেহেতু আমি শিক্ষা, এবং আইটি সেক্টরের উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়োজিত আছি সেই সুবাধে আমি
বলতে পারি বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বর্তমান
আওয়ামীলীগ সরকার এবং নতুন মন্ত্রীসভার প্রত্যেক সদস্যকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস
করি এবং বাস্তবেও দেখতে পাচ্ছি যে, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে পৃথিবীতে স্থান করে নিচ্ছে
আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে। একটি মানবিক তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলছেন
আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা একসময় লেখাপড়া, প্রযুক্তি সব কিছুতেই পিছিয়ে ছিলাম।
কিন্তু এখন সেই জনগোষ্ঠী প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থায় ডুবে গেছে বলা চলে। এটাই ডিজিটাল
বাংলাদেশ, এটাই জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি এবং ভিশনারী লিডারশীপ।
১৬ কোটি
মানুষকে তিনি উন্নত প্রযুক্তির পথে ধাবিত করেছেন। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে পরিবর্তন
করে দিচ্ছে পাশাপাশি মানুষের জীবনকে সহজতর করছে এবং স্বচ্ছতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী যেখানে ঘোষণা দিয়েছে সমাজকে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত
দেশ গড়ার। সেখানে তা সম্ভব প্রযুক্তিগত ব্যবহারের মাধ্যমে। আমরা যতই প্রযুক্তিগত ব্যবহার
করবো ততই আমাদের কর্ম পরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট ও নিখুত হবে।
সাজ্জাদ
হোসেন আরও বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের ভিশন বা পরিকল্পনার ১২ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ
আছে। “আধুনিকায়ন প্রযুক্তির সবস্তরে ব্যবহার”। এইভাবেই আমাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার পরিকল্পনা। কম্পিউটার ও মেশিন কখনও বৈষম্য করতে পারে না। সুতরাং
ডাটাবেস ও প্রযুক্তির মধ্যে নিজেদের ডুবিয়ে রেখে ও প্রযুক্তিকে অবলম্বন করে এগিয়ে যেতে
পারি। তবেই দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়ার এ চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য ও শেখ হাসিনার জন্য
কঠিন হবে না আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
আমরা
সুনির্দিষ্ট ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি । সরকার যে ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই ভাবে আমরা চিন্তা
করে সব কিছুতেই যদি ডিজিটালাইজেসন করতে পারি তাহলে আর কখনোই দুর্নীতি করা সম্ভব নয়।স্থাবর,অস্থাবর
কোন কিছুতেই দুর্নীতি হবে নাহ। বিভিন্ন দেশে দেখা যায় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা,সম্পদ
দিয়ে কোন কিছু করতে পারছে না তারা এই ডিজিটালাইজেসনের মাধ্যমে। যার ফলে সেখানে দুর্নীতি
অনেকটা কমে গেছে।আমরাও অবশ্যই সেই পথেই এগিয়ে চলছি। অবশ্যই হবে আমাদের সেই জয় দুর্নীতি
মুক্ত সমাজ।প্রতিটা চ্যালেঞ্জেই ধারণ করতে হবে টেকনোলজিকে।
সাজ্জাদ
হোসেন বলেন,প্রযুক্তি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমাদের সব জায়গাতেই টেকনোলজি নির্ভর
শিক্ষা ব্যবস্থা করতে হবে। যেমনঃ আমাদের সকল স্কুল বাচ্চাদের,কলেজের সকল ছাত্র–ছাত্রীদের ডিজিটাল টেকনোলজির আওতায়
নিয়ে আসতে হবে। এর মাধ্যমে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থার একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে
হবে।
তিনি
বলেন,তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর হাইটেক ইন্ডাস্ট্রির
মাধ্যমে ।আমাদের দেশে বিভিন্ন হাইটেক পার্ক নির্মাণ হচ্ছে কুমিল্লা,রাজশাহী,কালিয়াকৈর,সিলেটে।
সেখানে আমাদের দেশের ছেলেদের দিয়েই কাজ করাতে হবে,সমস্যা হলে তাদের দিয়ে সমাধান করাতে
হবে।এতে করে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে। ফলে এতে আমাদের দেশ আর পিছিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ
থাকবে নাহ।