আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তিন বছরের মেয়াদ পূর্তিতে আগামী অক্টোবরেই ২১তম জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা থেকে সরে এসেছে দলটির শীর্ষ নেতারা।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের কয়েকটি বৈঠকে অক্টোবরে সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হলেও আগামী বৈঠকে পেছানোর কথা স্পষ্ট হবে বলে দলের শীর্ষ এক নেতা জানান।

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন হয় তিন বছর পর পর। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর সর্বশেষ সম্মেলনে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা টানা অষ্টমবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হন, তবে সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ এসেছিলেন ওবায়দুল কাদের।

গত মার্চে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের এই বৈঠকের পর দলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আওয়ামী লীগ যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন ও সংগঠনের জাতীয় কাউন্সিলের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আটটি টিম গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

দলের উপদেষ্টামণ্ডলী, সভাপতিমণ্ডলী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত এই টিমসমূহ আটটি   সাংগঠনিক বিভাগের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ ও গতিশীল করবে।

সাংগঠনিক টিম করে দেওয়ার পরও সম্মেলনের কোন আওয়াজ নেই কেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিডিপলিটিকাকে বলেন, “আমরা চাই সম্মেলন সঠিক সময়েই হোক, নেত্রীও সেটা চায়। কিন্তু এবার সঠিক সময়ে সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও কিছু জটিলতার কারণে তা পেছাচ্ছে।

কবে নাগাদ সম্মেলন হতে পারে জানতে চাইলে এই যুগ্ম সাধারণ সমম্মেলন বলেন, “অক্টোবর নভেম্বরে হচ্ছে না এটা বলতে পারি।

একই কথা বলেন আওয়ামী লীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, “সম্মেলনের কোন আওয়াজ তো দেখছি না। অক্টোবরে সম্মেলন হলে এত দিনে অনেক কিছুই দেখতে পাওয়ার কথা। তাছাড়া আমি যতদুর জানি অক্টোবরে সম্মেলন হচ্ছে না।