ভার্চুয়ালি নয়, আগের মতোই বইমেলা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের অমর একুশে বইমেলার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শারীরিক উপস্থিতিতে বইমেলা হবে।’

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অমর একুশে বইমেলা ২০২১ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি, ১৭ মার্চ অথবা ২৭ মার্চ এই তিন তারিখের যেকোনো একটিতে মেলা শুরু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব থাকবে। প্রধানমন্ত্রী যে তারিখটি বেছে নেবেন সেই তারিখেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে অথবা তিনি অন্য কোনো তারিখও নির্ধারণ করতে পারেন।’

গত ১০ ডিসেম্বর বইমেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে ২০২১ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভার্চুয়ালি বইমেলার আয়োজনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ ডিসেম্বর সকালে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রকাশকদের দুই সমিতি-বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতারা।

তবে প্রথা অনুযায়ী, পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে এবারের বইমেলা শুরু হচ্ছে না। এজন্য প্রকাশকদের কাছ থেকে প্রস্তাব চাওয়া হয় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ ডিসেম্বর শারীরিক উপস্থিতিতে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলা আয়োজনের জন্য বাংলা একাডেমিকে লিখিত প্রস্তাব দেয় প্রকাশকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।