জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়ান আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ধর্মীয় শিক্ষক আহসান হাবীব।

এরশাদের নামাজের জানাজায় অংশ নেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।

জানাজা শেষে এরশাদের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।

জানাজা শেষে এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘৯১ সাল থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই এরশাদ একাধিক আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

এরশাদ দেশ-জাতি ও সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, ‘মানুষ মাত্রই ভুলত্রুটি হয়ে থাকে। উনার (এরশাদ) কোনও কাজে ভুল হয়ে থাকলে, তার ওপর কোনও ক্ষোভ থাকলে ক্ষমা করে দেবেন। আমি তার ভাই হিসেবে ক্ষমা চাচ্ছি।

জানাজা শেষে বক্তব্য রাখছেন এরশাদের ছোটভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)জানাজা শেষে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এরশাদকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে।

এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার জালালী জানান, আগামীকাল সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে নেওয়া হবে। বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা। রাতে সিএমএইচের হিমঘরে লাশ রাখা হবে। রাতে সিএমএইচের হিমঘরে লাশ রাখা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নেওয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে বা ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাজা হবে। বিকালে সেনাবাহিনী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

প্রসঙ্গত, বার্ধক্যজনিত কারণে এরশাদ দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল পৌনে ৮টায় তিনি রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।