বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) রবিবার (২২ মার্চ) সকাল পর্যন্ত এক দিনে ১ হাজার ৬৬৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীন ছাড়াও বিশ্বের মোট ১৮৮টি দেশে মরণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া ঝুঁকিতে আছে আরও অনেক দেশ। এতে বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে সহজে বোঝা যায় না। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর ক্ষেত্রেও একই উপসর্গ দেখা যায়। অনেকে এসব উপসর্গ নিয়েই ঘরের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে কারও করোনা পজিটিভ থাকলে সহজেই অন্যরা সংক্রমিত হতে পারে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁচি-কাশি, জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিলেই যে হাসপাতালে যেতে হবে এমনটা নয়। বরং এমনটা হলে দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকুন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এসব উপসর্গ দিলে কেউ যদি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন তবে তিনি কী ওষুধ খাবেন? কীভাবেই বা নিজের যত্ন নেবেন? 

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন বিজিএমইএ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তারা জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট— এই উপসর্গগুলোর যে কোনো একটি দেখা দিলে তারা ৫টি পরামর্শ মেনে চলতে বলছেন এবং তার সঙ্গে রোগ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন। 


লক্ষণ অনুযায়ী যে ওষুধ খেতে হবে

১. নাপা (এক্সটেন্ড ৬৬৫ এমজি)। জ্বর-ব্যথা থাকলে এটি খেতে হবে। ১+১+১ ভরা পেটে (প্রয়োজন মতো)।

২. ফেক্সো (১২০ এমজি)। শুধুমাত্র রাতে (৭ দিন)।

৩. সিভিট (২৫০ এমজি)। সকাল এবং রাতে চুষে খেতে হবে (২ সপ্তাহ)।

৪. এন্টাজল নাসাল (০.১%)। শ্বাস-কষ্ট হলে ২ ফোটা করে, দুই নাকের ছিদ্রে, দিনে ৩ বার নিতে হবে।

৫. ক্যাপসুল পিপিআই (২০ এমজি)। সকাল ও রাতে খাদ্য গ্রহণের ২০ মিনিট আগে খেতে হবে। 


পাঁচ পরামর্শ

১. অন্তত ১৪ দিন বা দুই সপ্তাহ বাসায় অবস্থান করতে হবে।

২. প্রচুর পানি পান করতে হবে।

৩. অন্য কেউ যেন আক্রান্ত না হয় তাই মাস্ক পরিধান করতে হবে। 

৪. সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

৫. ফল-মূল ও শাক-সবজি খেতে হবে।

তবে সবগুলো লক্ষণ দেখা দিলে এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অবশ্যই আইইসিডিআর এর হটলাইনে যোগাযোগ করুন।