ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করার মাধ্যমে আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘ।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এক বক্তব্যে বলেন, জেনারেল সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে এমন একটি অপরাধমুলক প্রক্রিয়া শুরু করা হলো যা শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এর আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভও বলেছেন, ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করার মাধ্যমে আমেরিকা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জেনারেল সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে মার্কিন সন্ত্রাসী সেনারা। হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী হাশদ আশ-শাবির উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ দুই দেশের আরো আট কমান্ডার শহীদ হন।

মার্কিন সেনারা এমন সময় জেনারেল সোলাইমানির উপর ওই হামলা চালায় যখন তিনি ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে বাগদাদ সফরে গিয়েছিলেন। ইরাক ও সিরিয়া থেকে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ নির্মূলে জেনারেল সোলাইমানি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যে প্রক্রিয়ায় জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বিশ্বের ড্রোনসমৃদ্ধ অন্যান্য দেশও সেই প্রক্রিয়ায় শত্রু দেশের রাজনৈতিক নেতাদের হত্যা করা শুরু করলে বিশ্বে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

তথ্যসূত্র : পার্সটুডে