ঢাকার কেরানীগঞ্জের বামনশুর গ্রামে শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে হামলায় অন্তত ২৫ জন গ্রামবাসী গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা ৩০টি  বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।এই হামলায় গুরুতর আহত  কয়েকজনের নাম জানা গেছে।  তারা হলেন মো. জমিস উদ্দিন (১৯), রাশিদা বেগম (৪৫), লাকি আক্তার (৪০), স্মৃতি আক্তার (২০), আল-আমিন (২৫), শাহিনুর (২২), মো. আনিস (৩৫), লাকি (৩০) ও সুমাইয়া বেগম (২৫)। রাশিদা বেগমকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

কেরানীগঞ্জ থানায় বসে বিকাল ৫টায়  আহত লাকি স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তারা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের বামনশুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।  বাপ-দাদাসহ চৌদ্দ পুরুষ ধরে তারা ওই গ্রামে বসবাস করে আসছেন। তাদের গ্রামের পাশেই ‘বামনশুর মডেল টাউন নামে একটি হাউজিং প্রকল্প গড়ে উঠেছে। শাক্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ওই হাউজিং প্রকল্পের মালিক। তারা কয়েকদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রায় ৩০টি বাড়ি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে বলে। কিন্তু গ্রামবাসী ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি।

এ ঘটনার সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকালে  শাক্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটনের নেতৃত্বে জাহিদুল, সাঈদ, বাসেদ, সুমন, জসীম উদ্দিনসহ ২০/২৫ জন ভূমিদস্যু  স্থানীয়দের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় গ্রামবাসী তাদের বাধা দিলে ভূমিদস্যুদের ভাড়াটে লোকেরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় আমিসহ প্রায় ২৫ জন গ্রামবাসী আহত হন।

হামলায় আহত মো.আনিস জানান, তারা বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরষের ভিটা-মাটিতে যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। শাক্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন লিটন দীর্ঘ দিন ধরে তাদের বসতবাড়ি জোরপূর্বক  হাউজিং প্রকল্পের ভেতর নেওয়ার জন্য নানাভাবে   নির্যাতন করে আসছে।

ব্যাপারে জানতে সালাহউদ্দিন লিটনের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই  আফরোজা খাতুন জানান, এ ঘটনায়  মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।