মীর তোফাজ্জল হোসেন: আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় এবং ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলীয় কার্যালয় নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপে মুখর থাকে সবসময়। নেতাকর্মীদের মধ্যে বেশি আলোচনায় আসছে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবে।

তবে সভাপতি পদের নেতৃত্বে এখনও অদ্বিতীয় বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা। তার কোনো বিকল্প নেই আওয়ামী লীগে। বারবার অবসরের ঘোষণা দিলেও নেতাকর্মীদের দাবির মুখে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এবার আওয়ামী লীগে দ্বিতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে রয়েছে জল্পনা কল্পনা।

এবারের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আলোচনায় রয়েছে আওয়ামী লীগের অনেক ক্লিন ইমেজের স্বচ্ছ নেতারা। তারা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা , বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক,সাবেক সভাপতি, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।সাবেক নির্বাচিত জিএস ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ।সাবেক সদস্য,বাংলদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় কমিটি। সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রেসিডিয়াম সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক,  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি,সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বর্তমান চাঁদপুর-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের যুগ্ম আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভোকেট মোঃ আজমত উল্লাহ খান, সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও সভাপতি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ।সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগ। সাবেক সাধারণ সম্পাদক,  ভাওয়ালগড় (গাজীপুর মহকুমা) জেলা ছাত্রলীগ।

সম্মেলন সম্পর্কে জানতে চাইলে এর আগে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে তিনি প্রার্থী হবেন না, তবে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি চান, তা হলে তিনি ফের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,অনেক সাংবাদিক ভাইয়েরা, দেশ বিদেশ ও তৃণমূল থেকে আমাকে ফোন করে বলেন আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনায় আছি। তবে এবারের সম্মেলনে নেত্রী আমাকে যেখানে রাখবেন সেখান থেকেই দল ও দেশের জন্য কাজ করে যাব।

আজমত উল্লাহ খান বিডিপলিটিকাকে বলেন, আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী,নেত্রী আমাকে যেখানে দায়িত্ব দিবেন আমি সেখানেই খুশি হয়ে দায়িত্ব পালন করে যাব। নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিলেও আমি আওয়ামী লীগের আছি না দায়িত্ব দিলেও আমি আওয়ামী লীগে আছি। নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে দলের জন্য কাজ করে যাব।