বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের সংকট উত্তরণের জন্য সুষ্ঠু একটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এ জন্য প্রথম প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচনী সময়ের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা। যাদের কাজ হবে দেশে একটি অবাদ-সুষ্ঠু নির্বাচন করা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আমার দেশ আমার শিল্প শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনালিস্ট রিসার্স সেন্টার।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ বাঁচাতে হলে দেশপ্রেমিক নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। সম্পূর্ণ জনগণের ম্যান্ডেট নেওয়া সরকার প্রতিষ্ঠায় নতুন নির্বাচন করতে হবে। এর বাইরে দেশের জনগণের সংকট উত্তরণ ও আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের কোনো বিকল্প নেই।

এ সময় সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, দেশের পত্র-পত্রিকা এমনকি ভারতের পত্রিকায়ও খবর বেড়িয়েছে। অথচ বাংলাদেশের বেনাপোল থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে বানতলা নামক স্থানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছোট একটি চামড়া শিল্প নগরী ছিল। সেটাকে এখন নতুন করে বড় আকারে একটি লেদার সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৮০ হাজার কোটি টাকা নতুন করে বিনিয়োগ করেছে। ইতালি থেকে বিনিয়োগকারী আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে সেটা উদ্বোধন করেছেন। ভারতের কানপুরের সব ট্যানারি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার ট্যানারি মালিকরাও বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে ওই (বানতলায়) লেদার সিটিতে নতুন করে ব্যবসা শুরু করার অনুমতি নিচ্ছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতিতে একটা নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়েছে।

ফখরুল বলেন, জানি না কতো দূর সত্য, শুনতে পারলাম মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল ও এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের টিকিটিং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও সরকারের লোকদের দেওয়া হচ্ছে। স্ট্যান্ডগুলো তাদের একেকজন লোকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশিদের না-কি বাধ্য করা হয়েছে, টিকিটের দায়িত্ব সরকারের লোকজনদের দিতে। এই যদি অবস্থা হয়, তাহলে এটা লুটপাট ছাড়া আর কিছু নয়।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকতউল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।