বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই মহামারি এখন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস গতকাল সোমবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‌‘বৈশ্বিক এই মহামারি দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। ডিসেম্বেরের শেষে চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এক লাখ মানুষকে আক্রান্ত করতে এটি সময় নিয়েছিল ৬৭ দিন। কিন্তু পরের ১ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ১১ দিনে। আর সংখ্যাটা ৩ লাখে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ দিন।’

ধারণা করা হচ্ছে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের যে সংখ্যা জানানো হচ্ছে, এটা প্রকৃত আক্রান্তের একটা অংশ মাত্র। অনেক দেশ শুধু গুরতর অসুস্থদের, যাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন শুধু তাদেরই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে।’ আধানম বলেন, ‘আমরা শুধু নীরব দর্শক নই। আমরা এই বৈশ্বিক মহামারির গতিপথ পরিবর্তন করতে পারি।’

জাতিসংঘের এই অঙ্গসংগঠন এও জানিয়েছে, যদি ভাইরাসটির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণাত্মক পথে যাওয়া যায় তাহলে এর গতিপথ পরিবর্তন করা সম্ভব।

করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে ১৬ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু এবং দেড় লক্ষাধিক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন কথা জানালো। গতকাল সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশগুলো সহজে লকডাউন করে দেওয়াই করোনা মোকাবিলার জন্য যথেষ্ট নয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক বলেন, ‘জিততে হলে, আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কৌশল গ্রহণ করে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে আরও ভয়াবহ আক্রমণাত্মক পথে হাঁটতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরীক্ষা এবং উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই ওষুধ আক্রান্তদের দেওয়া হলে তা মানুষের মধ্যে মিথ্যা আশার সঞ্চার করবে। এর মাধ্যমে ভালোর চেয়ে বরং খারাপই হবে বেশি।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা বিশ্বে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪ হাজার ৫৬২ জন। আর আক্রান্তের পরিমাণ ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫২৭ জন।