বছর ঘুরে আবারও এলো ফেব্রুয়ারি, ভাষার মাস। মায়ের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেন রফিক, বরকত, সালাম, জব্বার, শফিউররা। তাদের আত্মদানের বিনিময়ে আমরা ফিরে পাই আমাদের বর্ণমালা অ আ ক খ। সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আজ পহেলা ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি ও স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’। এবারের

মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘বিজয়’: ১৯৫২ থেকে ১৯৭১, নবপর্যায়’। আজ শুক্রবার বিকাল তিনটায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী এ গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে তিনি মেলা পরিদর্শন করবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিদেশি অতিথি থাকবেন ওপার বাংলার কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। এবার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশের পরিসর ৩ লাখ বর্গফুট। অমর একুশে গ্রন্থমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশকে ৪টি চত্বরে বিন্যস্ত করা হয়েছে। গতকাল সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বইমেলাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা: বইমেলাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, বইমেলায় আগত সবাইকে নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ে, ফুট পেট্রোলিং ব্যবস্থা, পোশাকধারী পুলিশের অবস্থান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও আইএডি শাখার সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। গতকাল সকালে বইমেলার নিরাপত্তাবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।