‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক
আজ বসন্ত’ ।আজ বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) । পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন।
বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার দিন। হ্যাঁ, বসন্ত এসে গেছে।
স্বর্গের কানন সাজাতে পল্লব এখন মঞ্জুরিত। কোকিলের উদাস করা গানের সুরে দু’হাত
বাড়িয়ে নব যৌবনে এখন শুধু তাকে গলায় পরার পালা। আর শিমুলের আঁচল ধরে কবিগুরুও সেই সুখ
জাগানিয়া আহ্বান জানিয়ে গেছেন উদোম হাওয়া আর শুভ্র মেঘে। তাইতো পলাশ-শিমুল-কৃষ্ণচূড়ার
ডালে ডালে আগুনঝরা বসন্ত এসে গেছে- আজ পহেলা ফাল্গুন, ঋতুরাজের প্রথম দিন। ফুলের উচ্ছ্বাসে
হাসছে আকাশ, কাঁপছে বাতাস, দুলছে আম্রমুকুল। অকারণের সুখে অলক্ষ্যে রঙ লাগছে অশোকে-কিংশুকে।
কৃষ্ণচূড়া, চন্দ্রমল্লিকা,
গাঁদা, মালতী, মাধবী, বকুল, শিমুল, পলাশসহ নানা জাতের ফুল ফোটে। আমের মুকুলের সৌরভে
ম ম করে আকাশ বাতাস। আর এই আগুন লাগা ফাগুনেই গাছে গাছে সুললিত কণ্ঠে প্রিয়াকে ডেকে
আকুল হয় কোকিল। বসন্তকে বরণ করার প্রধান অনুষঙ্গ ফুল।
পহেলা ফাল্গুনের দিন তরুণীরা
চুলে খোপা বেঁধে কেউ বেনী করে ফুলের মালা, ফুল দিয়ে জড়িয়ে ঘুরতে বের হয়। এজন্য দেশের
বৃহত্তম ফুলের বাজার শাহবাগ, কাঁটাবনসহ রাজধানীর ফুলের দোকানগুলোতে ওঠে ব্যবসা। গাঁদা,
রজনীগন্ধা, বেলী ও গোলাপের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি।
পহেলা ফাল্গুন বা বসন্তের
প্রথম দিনে বাঙালি নারীরা বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ি পরে তাজা ফুলের অলংকার ব্যবহার
করে ঢাকা শহরে বের হয়।
শাহবাগ, টিএসসি, রমনা, ধানমণ্ডিলেকের
চত্বর এদিন বাসন্তী রংয়ের শাড়ি পরা নারী ও বিভিন্ন রংয়ের ফুলে রঙিন হয়ে ওঠে। এ মাসে
একুশে গ্রন্থমেলা হওয়ার কারণে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ বসন্তের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। এছাড়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, টিএসসি, চারুকলাসহ পুরো শাহবাগ এলাকাতেই অসংখ্য নারী-পুরুষ,
শিশু-বৃদ্ধ,তরুণ-তরুণীরা বসন্তে উৎসবে মেতে ওঠে।