টানা নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ এই আগ্রাসনে ইউক্রেন শুরুতে কোণঠাসা অবস্থায় থাকলেও পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে দেশটি এখন পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সফলতার দেখাও পাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি।

এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের দূর পাল্লার রকেট সিস্টেম হাতে পেয়েছে ইউক্রেন। এরপরই ইউক্রেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এবং এই রকেট সিস্টেম রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রের গতিশীলতা পরিবর্তন করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্স থেকে একাধিক রকেট লঞ্চার সিস্টেম হাতে এসেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে ইউক্রেন। দূরপাল্লার ফরাসি এই আর্টিলারি ইউক্রেনের অস্ত্রাগারে যোগ হওয়ায় এখন তা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে গতিশীলতা পরিবর্তনের সহায়ক হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, ‘ফ্রান্স থেকে এলআরইউ ইউক্রেনে এসেছে! ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এখন আরও শক্তিশালী।’

ফ্রান্সের সরবরাহ করা এলআরইউ হলো হিমারস, এম২৭০, মারস ২-এর পর ইউক্রেনকে দেওয়া চতুর্থ প্রকার অত্যাধুনিক রকেট-লঞ্চার সিস্টেম (এমএলআরএস)। মূলত কিয়েভকে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ইউক্রেনে ফরাসি এই রকেট সরবরাহ করা হচ্ছে।

ফ্রান্সের সরবরাহ করা রকেট লঞ্চার সিস্টেমের পরিসীমা প্রায় ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মাইল)।

এএফপি বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের কমান্ড স্টেশন এবং গোলাবারুদ ডিপোতে নিজস্ব ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে পশ্চিমা সরবরাহকৃত সিস্টেমগুলো ব্যবহার করে হামলা করছে ইউক্রেন। আর তাই পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আরও দূরপাল্লার অস্ত্রের জোগান দেওয়ার অনুরোধ করেছে কিয়েভ।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, দুই সপ্তাহ আগে ফরাসি সেনাবাহিনী বিষয়ক মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু দেশটির লে জার্নাল ডু দিমাঞ্চেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনে দু’টি ফরাসি এলআরইউ সরবরাহের কথা ঘোষণা করেছিলেন।

সেসময় লেকর্নু বলেন, ফ্রান্স ক্রোটেল এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দু’টি ব্যাটারিও পাঠাবে এবং আকাশপথে হামলা শনাক্ত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাডারের জন্য ইউক্রেনের অনুরোধ বিবেচনা করছে।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যে ১৫ হাজার সৈন্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের মধ্যে ২ হাজার সৈন্যকে প্রশিক্ষণের পরিকল্পনাও করছে ফ্রান্স।