সারাদেশে ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে সোমবার ভোট। তবে ভোটের আগেই বাগেরহাট, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ৪৩টি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এর মধ্যে বাগেরহাটে ৬৬টি ইউপির মধ্যে ৩৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না। বাকি ২৮ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

আজ যেসব জেলায় ইউপি নির্বাচন হবে এর মধ্যে খুলনায় ৩৪টি, বাগেরহাটে ৬৬টি, সাতক্ষীরায় ২১টি, নোয়াখালীতে ১৩টি, চট্টগ্রামে ১২টি এবং কক্সবাজারে ১৪টি ইউনিয়ন রয়েছে।

বাগেরহাটের বাইরে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৪টি এবং খুলনার ১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপিতে কয়েক ধাপে ভোট হবে। গেল ৩ মার্চ প্রথম ধাপের ৩৭১টি ইউপির ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। করোনার কারণে ভোট স্থগিত করা হয়। ২১ জুন ২০৪টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

সীমান্তবর্তী এলাকায় কোভিড পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৬৭টি ইউপির ভোট স্থগিত করা হয়। প্রথম ধাপে স্থগিত ১৬৭টি ইউপির মধ্যে ১৬০টিতে আজ ভোট হচ্ছে।

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ১৫৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও তাদের জোটের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। এরপর ক্রমে স্থানীয় সরকারসহ অন্যান্য নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রবণতা শুরু হয়।

২০১৫ সালের শেষের দিকে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ফেনীর পরশুরামে মেয়রসহ সব কাউন্সিলর পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন।

২০১৬ সালে সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। ওই নির্বাচনে বাগেরহাট ও ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলেন না। ফলে অনেক ইউপিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। এরপর জেলা পরিষদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করলে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থীরা জয়ী হন। তারপর উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার খবর ব্যাপকভাবে আসতে থাকে।