বাংলাদেশের যুবাদের বিশ্বকাপ জয় মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপত্বিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দেশে ফিরলে তাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। যুব ক্রিকেটারদের এমন অর্জন তাদের কঠোর অধ্যবসায়ের ফল বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারত পরপর চার বার চ্যাম্পিয়ন, তাদের  হারানো বেশ কঠিন ছিল, তবে আমাদের ছেলেগুলো সাংঘাতিক ছিল। যখনই জিতে এসেছে তখনই সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে তাদের। গণসংর্বধনা ওদের দেয়া হবে বলেন সরকারপ্রধান।

আইসিসির বিশ্বকাপ এখন বাংলাদেশের। বাংলাদেশের যুবারা দুর্দান্ত খেলে পচেসস্ট্রমে উড়ালো লাল-সবুজ পতাকা। এই অর্জন ৫৭ হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি কোনা ছুঁয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকেও সেই রেশ। যুব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে ঝরলো ভালোবাসা।

ক্রিকেটের প্রতি অনুরক্তের কারণে সব খবরই রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আকবর আলীদের এই অর্জনটা যে কঠোর অধ্যবসায়ের ফল সেটা ভালোভাবেই জানেন সরকারপ্রধান।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশজুড়ে চলছে ক্রীড়ার মহাযজ্ঞ। এমন ক্ষণে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রীকেট দলের বিশ্বকাপ জয়কে প্রধানমন্ত্রী দেখছেন মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে।

দেশের ক্রিকেটের এমন অর্জনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা দিনটা কাটাতে চেয়েছিলেন ছুটির আমেজে। তবে প্রধানমন্ত্রী রসিকতা করে বলেন যুবাদের এই অর্জন থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে কাজ করতে হবে আরো অন্তত এক ঘণ্টা করে বেশি।

গতকালই মুজিববর্ষের প্রাক্কালে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে জয় লাভ করায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল, কোচ, ম্যানেজার এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ খেলোয়াড়ি মনোভাব ধরে রেখে এভাবেই ভবিষ্যতে এগিয়ে যেতে হবে।

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা এনে দিয়েছে বাংলার যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে চার বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ডার্ক ওয়ার্থ লুইস মেথডে হারায় ৩ উইকেটে।

স্কোর:

ভারত: ১৭৭/১০ (৪৭.২) জয়শওয়াল ৮৮, তিলক ভার্মা ৩৮; শরিফুল ২/৩১, সাকিব ২/২৮, অভিষেক ৩/৪০।

বাংলাদেশ: ১৭০/৭ (৪২.১) ইমন ৪৭, আকবর ৪৩*; বিষ্ণই ৪/৩০, মিশ্রা ২/২৫।