দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, সহিংসতা ও মসজিদ ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ইসলামি দল। এ সময় আগামী ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করে কয়েকটি ইসলামি দল ও সংগঠন।

জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের আমির ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ১২ তারিখ বাদ আসর সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। কোনোভাবেই বাংলার মাটিতে আমরা মোদিকে পা রাখতে দেবো না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমাদের আহ্বান- দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে এরপর তৌহিদি জনতা মোদির মতো খুনিকে বাংলার মাটিতে পা রাখতে দেবো না। আমরা আগেও এ কথা বলেছিলাম, আজও বলছি।

নামাজের এক ঘণ্টা আগে থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে মিছিল পল্টনের দিকে চলে যায়। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আশপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণাও দেন তারা। এরআগে জুমার আগ থেকে পুরো বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থান নেয়।

বিক্ষোভ থেকে মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করেন বক্তারা। মোদিকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন তারা। প্রয়োজনে বিমানবন্দর ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন ইসলামি দলের নেতারা।

আগামী ১৭ মার্চ নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে মুসলিমদের ওপর হামলায় মোদীর সরকার জড়িত এ অভিযোগ এনে ইসলামী দলগুলো মোদিকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে না আনার দাবি জানিয়ে আসছিল। বাংলাদেশ সরকার অবশ্য এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে।