জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, রংপুরের মানুষের ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। এছাড়াও এরশাদের কবরের পাশে রওশন এরশাদের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।

এর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরে দাফন করা নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্ঠি হয়। রংপুরে জানাজা শুরুর আগে বক্তব্য দিতে গিয়ে মাইকে বারবার ঘোষণা দেওয়া হয়, 'কোনোভাবেই এরশাদের লাশ ঢাকায় নিতে দেওয়া হবে না। যে কোনো মূল্যে প্রিয় নেতার লাশ রংপুরে সমাহিত করা হবে।

কবর ইস্যুতে উত্তেজনার মাঝেই মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর ঈদগাহ মাঠে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে মরদেহবাহী হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছায়। পরে সেখান থেকে দুপুর ১ টার দিকে রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে মরদেহ আনা হয়। এসময় একে একে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা শ্রদ্ধা জানান।