মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর দেশটির সেনাবাহিনী বর্বর নির্যাতনের চালায়। এ নৃশংসতার কথা স্বীকার করছেন দেশটির সাবেক দুই সেনা সদস্য। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন জানিয়েছে, মাইও উন তুন এবং জও ন্যাং তুন নামের দুই জন সৈন্য গত মাসে মিয়ানমার সেনাবাহিনী (যা তাতমাদাউ নামে পরিচিত) ত্যাগ করে আসেন। রোহিঙ্গাদের উপর সংঘঠিত নির্যাতন দেখেছেন এবং তাতে নিজেরাও অংশ গ্রহণ করেছেন বলে তারা পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে বিবরণ তুলে ধরেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

মিয়ানমারের এ দুই জন সৈন্য উত্তরাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের সময়কার বিভিষীকাময় বর্ণনা তুলে ধরেছেন। ঐ সময়কার ঘটনাকে জাতিসংঘ ‘গণহত্যা’ বলে চিহ্নিত করেছে। 

মাইও উন এবং জও ন্যাং জানান, তারা সকল রোহিঙ্গা মুসলিমকে দেখামাত্র গুলি করার আদেশ পালন করেন এবং তারা দেখেছে যে, তাদেরই সহযোগী সৈন্যরা তরুণী ও নারীদের ধর্ষণ করেছেন। গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছেন। ঐ অভিযানের ফলে সাম্প্রতিক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম শরনার্থী সংকটের উদ্ভব হয়। ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা গ্রামবাসী সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। 

মিয়ানমার সৈন্যদের দেয়া এই প্রথম রেকর্ড করা বর্ণনার সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীদের কাছে দেয়া বর্ণনার মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই বর্ণনা রেকর্ড করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। ফর্টিফাই রাইটস নামের থাইল্যান্ডের একটি মানবাধিকার বিষয়ক নজরদারি সংগঠন এই ভিডিওটি পেয়েছে। তারা এটি অনুবাদ করে মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণ করেছে। 

এ সাবেক দুই সেনা দ্য হেইগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হেফাজতে আছেন।