দাহ্য পদার্থ সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানে এ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স ও কমিটিগুলোর মতামত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আজ বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বিপিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ‘দাহ্য পদার্থ সংশ্লিষ্ট নয় এমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের অনুরোধ জানালে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের অনুরোধ আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় করব। কিন্তু সেজন্য এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদি, ইতোমধ্যে গঠিত টাস্টফোর্স ও কমিটিগুলোর মতামত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করব।’

এ সময় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই খাতের বিদ্যমান সমস্যা ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে শিল্পনগরীতে স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত পুরান ঢাকার শিল্প-কারখানাগুলো চলমান রাখার স্বার্থে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু করার অনুরোধ জানান।

একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়ে তুলতে ডিএসসিসি কর্তৃক নতুন আঙ্গিকে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আপনাদের সকল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বিশেষত মার্কেট এবং দোকানের ময়লা-আবর্জনা দিনের বেলায় উন্মুক্ত স্থানে বা রাস্তার উপর আর ফেলবেন না। সারাদিনের ময়লা-আবর্জনা সংরক্ষণ করে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে রাত ১০টার মধ্যে তা আমাদের সংগ্রহকারীর কাছে হস্তান্তর করবেন। বাকি ব্যবস্থাপনা আমরা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে সম্পন্ন করব। আপনাদের এটুকু সহযোগিতা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিপিজিএমইএ’র সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ সু ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি খোকা শিকদার, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। বাসস