শিশু নির্যাতন ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের সঙ্গে অন্যায় অবিচার কখনই বরদাশত করা হবে না।


শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ হুশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা শিশু নির্যাতন বা শিশু হত্যা করবে, তাদের কঠোর থেকে কঠোর সাজা পেতে হবে, অবশ্যই পেতে হবে। তাদেরকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ‘

তিনি বলেন, আজকের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। প্রতিটি শিশু যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, প্রত্যেকটা শিশুর জীবন যেন অর্থবহ হয়। শিশুদের উন্নত ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কাজেই শিশুদের প্রতি কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য অনেক কিছু করত। মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে কেমন হতো দেখতে তাকে? -এ সময় অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রাসেলের খুব শখ ছিল সে বড় হয়ে আর্মি অফিসার হবে। সেই ভাবে সে কিন্তু নিজেকেও তৈরি করত। যখন গ্রামে যেত তখন অনেক শিশুদের জড়ো করত। সে কাঠের বন্দুক বানাত। ওদেরকে নিয়ে সে প্যারেড করাত। প্যারেড করানো শেষে তাদের খাবার-দাবার দিত। আর সবাইকে ছোট ছোট এক টাকার নোটের বান্ডিল থেকে একটা করে টাকা দিত। ছোট ছোট গরিব শিশুদের জন্য ওর অনেক দরদ ছিল।