আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে সফল হয়নি বলে দলটির নেতারা ওই ঘটনাটিকে এখন ‘দুর্ঘটনা’ বলছে।

শনিবার সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে রাজশাহী সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

একদিন আগেই গ্রেনেড হামলার ষোড়শ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বিএনপি আমলে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে পরে তদন্তে উঠে আসে। রায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেকসহ বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আসামি করা হয়েছিল বলে দলটির নেতাদের অভিযোগ।

তার প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপির নেতারা দিবালোকের মতো সত্যকে বিকৃত করে বলছে, একুশে আগস্ট নাকি দুর্ঘটনা!

“একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় রাষ্ট্রযন্ত্রকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা হামলা চালানো হয়েছিল, যা ছিল ১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতা। একুশে অগাস্টের টার্গেট ছিল দেশরত্ন শেখ হাসিনা। এ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবন, তাদের নির্দেশেই এই হামলা। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব সবই জানত।”

“সেদিন আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা বেঁচে যান। হতে পারে, হাওয়া ভবনের ছক অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি বলেই তারা দুর্ঘটনাবলছেন। খুনিদের নিখুঁত হত্যা-পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় তারা তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে দুর্ঘটনাই মনে করতে পারে,” বলেন কাদের।

“তদন্তে বাধা দেওয়া, জজ মিয়া নাটক সাজানো, আলামত নষ্ট করাসহ পদে পদে বাধাদানের মাধ্যমে তাদের সংশ্লিষ্টতার অকাট্য প্রমাণ জাতির কাছে আজ স্পষ্ট।”

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।

“দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে রয়েছে। বাড়ছেও না, আবার কমছেও না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে তুলনামূলক অবস্থান ভালো হলেও আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।”

স্পেন, নিউজিল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে পুনরায় প্রাদুর্ভাবের দিকটি দেখিয়ে তিনি বলেন, “সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাস শিগগিরই চলে যাবে বা চলে যাচ্ছে, এমন মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। এমন ভেবে স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।”

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে বাসের ভাড়া বাড়ানো হলেও বিআরটিএ মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে এখন মতবিনিময় করে সুপারিশ মন্ত্রণালয় হয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী কাদের।

তিনি বলেন, “আসন খালি না রাখলে এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানলে যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া কেন দেবে?

“এ প্রেক্ষাপটে বিআরটিএ, মালিক-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় করে কিছু সুপারিশ তৈরি করে। এসকল সুপারিশ কেবিনেট ডিভিশনে প্রেরণ করা হচ্ছে। কীভাবে বা কোন কোন শর্তে পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যেতে হবে, এসকল বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত পাওয়া গেলে আমরা তা সকলকে অবহিত করব।”