সমুদ্র
প্রবাল, ২৭শে আগস্ট ২০১৮ইং
আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন চৌদ্দ দলীয় জোট বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
আওয়ামী
রীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য
নিশ্চিত হয়েছে বিডিপলিটিকা।
চৌদ্দ
দলীয় জোট বাড়ার বিষয়ে বিডিপলিটিকাকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,“চৌদ্দ
দলীয় জোটে আসার জন্য আমি কয়েকটা দলকে অনুরুধ করেছি বিষয়টা এমন নয়। আমাদের ১৪
দলের বাইরে কিছু দল আছে যার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এ রকম যেমন বাংলাদেশের
কমিউনিষ্ট পার্টি। কমিউনিষ্ট পার্টির যে আটদলীয় বাম জোট আছে তার বাইরে তারা কিছু
ভাবছে না। তারা আমাকে বলেছে মুক্তিযুদ্ধের বিরুধী কোন শক্তির সঙ্গে তারা থাকবে না,
সাম্প্রদায়িক কোন জোটের সঙ্গে থাকবেন না, আওয়ামী লীগের জোটেও তারা থাকবেন এমন কোন
আস্বাশও তারা আমাকে দেন নি।”
তবে
অন্যরা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “কাদের সিদ্দিকী সাহেব
তিনিও মুক্তিযোদ্ধা, তিনিও এখানে এসেছিলে, মেজর মান্নান সাহেব ও এসেছিলেন
তাদের সঙ্গেও আমার আলাপ হয়েছে, কর্নেল অলির সঙ্গেও আমার ফোনালাপ হয়েছে। তারা
সরকারের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। তারা যে কোন সময় আলাপ আলোচনায় বসতে পারে। এই আলোচনা
না হওয়া পর্যঙন্ত আমি ফাইনাল কিছু বলতে পারছি না আমাদের জোটে কারা আসছেন।”
“আর যারা
আছেন তারা বলেছেন এই জোটেই থাকছেন। জাতীয় পার্টির ক্ষেত্রে বিএনপি ইলেকশনে না আসলে
জোট থেকে বেড়িয়ে তারা ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। আর বিএনপি ইলেকশনে আসলে জোটেই
থাকছেন।এটা তো তারা প্রকাশ্যেই বলেছে। আর জোটের পোলারাইজেসন সমিকরণ এই বিষয়গুলো
নির্বাচনী রাজনীতিতে খুবিই ডিফিকাল্ট বিষয় যেটা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হতে পারে
সমীকরণে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। জোট সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের
পক্ষের যে কেউ আসতে চাইলে আমরা বিবেচনা করবো। আলাপ আলোচনা চলছে।”
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু বিডি পলিটিকাকে বলেন, “জোট বাড়ার বিষয়ে কথা বার্তা চলছে, তবে ফাইনাল বিষয়টি দেখবেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমার জানা মতে অনেকেই জোটে আসতে চাচ্ছে, তবে কাদের নেওয়া হবে সেটা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তাছাড়া বাড়বে কিনা সেটাও উনারই স্বিদ্ধান্ত। ”
বিডি/ ইব্রা