সাতক্ষীরার কদমতলায় আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে (৬৩) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁর বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে সাতক্ষীরা-বৈকারি সড়কের হামজাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে নজরুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম ও সিরাজুলের ছেলে কবিরুল ইসলামকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। নজরুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের কুচপুকুর গ্রামে।

নিহতের ছোট ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, তাঁর বড় ভাই বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে কদমতলায় যান বাজার করতে। বাজার করে ফেরার সময় ইটভাটার পাশে কে বা কারা তাঁকে পেছন থেকে দুটি গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁর ভাই নজরুল ইসলাম মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই হাজামপাড়া এলাকায় তিনি পড়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে এসেছিল।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎ মিশ বলেন, লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। 

আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। তাঁরা অবিলম্বে ঘাতকদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

নজরুল ইসলামের বড় ছেলে পলাশ রহমান বলেন, তাঁর বাবা নজরুল ইসলাম ২০১৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কয়েকবার সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা নজরুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সিরাজুল ইসলামের ছেলে বড় ছেলে যুবলীগ নেতা রাসেল কবির ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।