বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কার্যকরী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নাবিলা নুহাত চৈতী । গত ১৯ শে অক্টোবর ২০২০ খ্রি. ঘোষিত নবনির্বাচিত কমিটিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থান করে নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্রলীগ নেত্রী। তিনিই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম নারী নেত্রী হিসেবে  জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। উনি জাবি ছাত্রলীগ জনি - রাজিব কমিটির উপ - সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০০৮-০৯ সেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ভর্তি হন । তখন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে "  বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক উন্নয়নে সংস্কৃতির প্রভাব " শীর্ষক বিষয়ে  একজন গবেষক হিসেবে এম. ফিল ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত আছেন। 

২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে সক্রিয় নারী নেত্রী হিসেবে একচ্ছত্রভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রীদেরকে অনুপ্রাণিত করেন এবং সম্মুখসারি থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন । উল্লেখ থাকে যে, ঐ সময়ে জাবি ছাত্রলীগের জনি - রাজিব কমিটিতে  তিন জন নারী নেত্রীর মধ্যে তিনি একজন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের জ্বালাও পোড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হুমকির মুখে থেকেও আন্দোলন সংগ্রাম থেকে কখনোই তিনি পিছ পা হননি।

পারিবারিকভাবে তিনি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার অন্তর্গত সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঘুনিপাড়া গ্রামে মিঞা বংশে তার জন্ম। তার দাদা মরহুম আফতাব মিঞা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সলিমবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন । সে সময় তাঁর নিজ বাড়িতে ৭২ জন মুক্তিযোদ্ধাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নাবিলা নুহাত চৈতীর বাবা মো: শফিকুল ইসলাম সেলিম কিশোর বয়সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়ক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও নাবিলা নুহাত চৈতীর নানা মরহুম মো: রিয়াজ উদ্দিন সে সময় থানা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হিসেবে দিনাজপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন। তিনি গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থ সহায়তা প্রদান ও টাঙ্গাইলে তাঁর নিজ বাড়িতে গোপনে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নাবিলা নুহাত চৈতীর মা মোসা: রেহানা খানম মাত্র ৮ বছর বয়সে মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার সরবরাহ ও গোপন  তথ্য পৌঁছে দিতেন। বাবা মায়ের মুখে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মরণীয় ঘটনা শুনে ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অন্তরে ধারণ করেন নাবিলা নুহাত চৈতী ।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ ,যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন ও  শুভেচ্ছায় তিনি অভিষিক্ত হয়েছেন ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি তিনি আন্তরিকভাবে চিরকৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জননেতা মো: বাহাউদ্দিন নাছিম এর প্রতি। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সভাপতি শ্রী নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নাবিলা নুহাত চৈতী ।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যেতে চান নাবিলা নুহাত চৈতী ।