যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রেইন দাবি করেছেন, গত ২০ বছরে চীন থেকে পাঁচ ধরনের ভাইরাস ছড়িয়েছে বিশ্বে। এটা এখন বন্ধ হওয়া উচিত।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ওব্রেইন এমনটাই দাবি করেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনডিটিভি। ওব্রেইন আরও বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির উৎপত্তির জন্যও জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত চীনকে।

ওব্রেইন বলেন, ‘বিশ্বের সব মানুষকে এক হয়ে চীন সরকারকে বলা উচিত, ‘আমরা চাই না চীন থেকে আর এ ধরনের ভাইরাস ছড়াক’। কোনো ল্যাবরেটরি হোক আর মাছ-মাংসের বাজার থেকে হোক, ভাইরাসের উৎপত্তি বিষয়ে এর কোনোটাই ভালো উত্তর হতে পারে না।’

নতুন করোনাভাইস যে চীনের উহান থেকেই ছড়িয়েছে সে ব্যাপারে ওব্রেইন নিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘ভাইরাসটি সম্ভবত ল্যাব বা মাছ-মাংসের বাজার থেকেই ছড়িয়েছে। আমি মনে করি, তার বিশদ প্রমাণও রয়েছে। তবে উৎপত্তিস্থল যদি চীন হয় তাহলে এর কোনো ভালো উত্তর নেই’।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তা ওব্রেইন বলেন, গত ২০ বছরে চীন থেকে সার্স ভাইরাস, অ্যাভিয়ান ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু এবং এখন নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি হয়েছে। চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এসব ভাইরাসের জন্য বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য খাত আর কত ভয়ানক পরিস্থিতি সহ্য করবে সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।

তবে চারটি ভাইরাসের কথা বললেও পঞ্চম ভাইরাসটির কথা উল্লেখ করেননি ওব্রেইন।

নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা অবশ্য বলেছে, ভাইরাসটি মানবসৃষ্ট নয়। তবে কোথা থেকে এর উৎপত্তি তা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে ওব্রেইনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সম্ভব নয়।’

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে দুই লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ৪০ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। একক দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অর্থনীতি।

এমন পরিস্থিতির জন্য চীনকে দায়ী করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। ওয়াশিংটনের দাবি, উহানের ল্যাব থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। যদিও এর কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।