১৫ আগষ্টে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ভুয়াজন্মদিনের উদযাপন বন্ধ না করলে দলটির সঙ্গে রাজনৈতিক কর্ম সম্পর্ক রাখা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

শোকাবহ আগষ্টে প্রথম দিনে শিল্প কলা একাডেমীর চিত্র শালায় যুবলীগ আয়োজিত মাসব্যাপি বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

 

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যে জড়িতদের মুখোশ উন্মোচন অনেক আগেই হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ১৫ই আগষ্টের কান্ডে যারা জড়িত, যারা পৃষ্ট পোষকতা করেছে যারা পিছন থেকে মদদ দিয়েছে, হত্যাকারীদের যারা এই দেশে পূনর্বাসিত করেছে। বিদেশি দুতাবাসে চাকরি দিয়েছে, ইন্ডিমেটি আনই জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল সে জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার মঞ্চের নায়ক নেপথ্যোর নায়ক কারা এটা ইতিহাসই বলে।

কিন্তু যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবসে কেক কেটে ভুয়া জন্ম দিবস পালন করে, তাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক কিভাবে হয় আমি জানি না।

১৯৭৫ সালের ওই দিন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা খুন হন। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় বেঁচে যান।

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ওই দিনটিতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেও তার আরো জন্ম তারিখের হদিস পাওয়া যায়।

খালেদা জিয়ার বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে ঠিকানা নেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। তার মায়ের নাম তৈয়বা মজুমদার।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দিনে খালেদার জন্মদিন পালন নিয়ে অনেক সমালোচনাও রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “১৫ আগষ্ট, ২১ আগষ্টের মত ঘটনার পরেও বিভিন্ন দলের সঙ্গে একটা কর্ম সম্পর্ক আমরা রাখতে চাই, রাখছি তার প্রমান আছে।

তবে আমাদের আবেগে, আমাদের অনুভুতিতে রক্তক্ষরণ হয়। আমি এখনও বলছি বঙ্গবন্ধু নির্মম হত্যাকে নিয়ে আপনারা উপহাস করে যারা ভুয়া জন্ম দিবস পালন করেন। এই ভুয়া দিবস বন্ধ না করলে, এই দেশের রাজনীতিতে আপনাদের সঙ্গে কর্ম সম্পর্ক গড়ে তুলা আমাদের পক্ষে কঠিন।