রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জুবায়ের হাসান জনি (২৬) ও সুজন (২৮) নামে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ফুলতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এদের মধ্যে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড (পশ্চিম) স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক জুবায়ের হাসান জনি (২৬) এর ডান পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি কাজলার ফুলতলা এলাকার আসলামের ছেলে।

অপরজন হলেন একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সুজন (২৮)। তিনি একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য। তার বাম হাতের কনুই থেকে কজ্বি পর্যন্ত চাপাতির আঘাত রয়েছে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র এবং আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্মিলিতভাবে বালুর ব্যবসা করার জন্য ২০১০ সালে ফুলতলা ২৮ নম্বর ওয়ার্ড মতিহার থানা (পশ্চিম) আ.লীগের বহিস্কৃত সভাপতি আব্দুস সাত্তার বিভিন্ন জনের কাছে অর্থ আদায় করে। সেই অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে কেনা হয় ড্রেজার। কিন্তু পরিকল্পিত বালুর ব্যবসাটি কোনক্রমে বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাবসায়ে যারা অর্থ দিয়ে বিনিয়োগ করেছিল তারা একাধিক বার সেই অর্থ ফেরত দিতে আব্দুস সাত্তারকে বলেন। কিন্তু তিনি এতে অসম্মতি জানান।

এ বছর সেই ড্রেজারটি পুনরায় চালু করে ব্যবসা চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হলে আব্দুস সাত্তার তাতে বাধা দেয়। পরে মিমাংসার আহ্বান জানালে তিনি মিমাংসা করেননি। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে আহতাবস্থায় জুবায়ের হাসান জনি বলেন, ড্রেজার চালু করা নিয়ে বেশ কদিন থেকেই বহিস্কৃত আ.লীগ নেতা আব্দুস সাত্তারের সাথে স্থানীয়দের বিবাদ চলছিল। সকালে (শুক্রবার) আমরা ড্রেজার চেক করতে গেছি শুনে আব্দুস সাত্তার তার ছেলে টনি ও ডনিকে পিস্তল দিয়ে পাঠায়। তার সাথে আরও অন্তত ২০ জন এসে আমাদের মারধর করে। এরপর তারা আমাদের উদ্দেশে তিনটি গুলি ছোঁড়ে, যার একটি আমার পায়ে লাগে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ফুলতলা এলাকায় ড্রেজার নিয়ে একটি বিবাদের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে, তাদেরকে (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো গোলাগুলি হয়েছে শুনিনি। ঘটনার তদন্তে কাজ করছে পুলিশ।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেছেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।